জাতীয়

গ্যাস সংকট চরমে, সিএনজি স্টেশনে দীর্ঘ লাইন

গ্যাস সংকট চরমে, সিএনজি স্টেশনে দীর্ঘ লাইন

দেশজুড়ে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন, পেট্রলপাম্প, শিল্পকারখানা সর্বত্র একই অবস্থা। এদিকে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের চাপ খুবই কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে সড়কে যানজটও বাড়ছে।নষ্ট হচ্ছে সময়।

 

ঢাকাসহ সারাদেশেই একই চিত্র।কোনো কোনো স্টেশনে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে গ্যাস না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান তিতাস বলছে, শীতের প্রকোপে গ্যাস লাইনে কনডেনসেট জমে। পাশাপাশি সরবরাহ কমায় সংকট তীব্র হয়েছে।

 

রাজধানীবাসী বলছে, সকাল ৮টার দিকেই গ্যাস চলে যায়। আসার ঠিক নেই। এখন পানি ফুটিয়ে খাওয়ার মতোও পরিস্থিতি নেই। গ্যাসের চাপ কম থাকায় শুধু ডাল বা ভর্তা খেয়েই দিন পার করছেন অনেকে। মাছ বা মাংস রান্না করার মতো অবস্থা নেই।

 

শুধু বাসাবাড়িতেই নয়, রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের প্রয়োজনীয় চাপ নেই। তাই গাড়ির জ্বালানি সংগ্রহে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের। তার পরও চাহিদামতো সিএনজি কিনতে পারছেন না অনেকেই।চালকরা বলছেন, গ্যাস সংগ্রহের জন্য তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে। তার পরও ঠিকমতো গ্যাস পাওয়া যায় না।

 

স্টেশন কর্তৃপক্ষের মতে, গ্যাসলাইনে পাউন্ড-বল প্রতি বর্গ ইঞ্চি (পিএসআই) অন্তত ১৫ থাকার কথা, এর থেকে অনেক কম থাকার কারণে মেশিন প্রায় অচল থাকছে। রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ ১২ জেলায় তিতাসের গ্রাহকরা দৈনিক প্রায় ১৮০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস পেত। এখন মিলছে দেড়শ কোটি ঘনফুটের নিচে। একটি ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল মেরামতের কাজ চলায়, আমদানির গ্যাস কমেছে বলে জানান তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

 

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ জানান, একই সঙ্গে শীতকাল ও গ্যাস ঘাটতি থাকায় সংকট প্রকট হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৯ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় টার্মিনালটি সচল হলে, দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ঘনফুট বাড়তি এলএনজি জাতীয় গ্রিডে মিলবে। এতে রাজধানীতে গ্যাস পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে জানায় তিতাস।

 

আরও খবর

Sponsered content