জাতীয়

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবার ইইউ’র বিবৃতি

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবার ইইউ’র বিবৃতি

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় দল অংশ না নেয়া হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনী সহিংসতার পাশাপাশি বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে।

 

বিবৃতিতে ইইউর পক্ষে ইউরোপের ২৭ দেশের এই জোটের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বলেন, এবারের নির্বাচনে মোট ২৭টি দল অংশগ্রহণ করে। তবে ছিলো না বিএনপির মতো বৃহৎ দলগুলো। এতে হতাশা প্রকাশ করেছে ইইউ। ইইউ-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের মূল্যবোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। নির্বাচনে অনিয়মের যেসব খবর এসেছে, সেগুলোর সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোসেফ বোরেল।

 

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রবিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল লক্ষ করেছে। একই সঙ্গে ইইউ-বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মূল্যবোধের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, সে বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে।

 

জোসেপ বোরেল বিবৃতিতে বলেন, ইইউ নির্বাচনবিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন এবং সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির একই চেতনায়, আমরা নির্বাচনে অনিয়মের যেসব খবর এসেছে, সেগুলোর সময়োচিত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

 

বিবৃতিতে বলা হয় , ইইউ নির্বাচনকালে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। এই সময়কাল এবং এর পরবর্তী সময়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে, বিরোধী নেতা–কর্মীদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে যুক্ত হওয়ার জন্য সব অংশীজনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছে ইইউ। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো ধরনের সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে পারার পরিবেশ থাকাটাও জরুরি।

 

আরও খবর

Sponsered content