জাতীয়

নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ডাবের দাম

নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ডাবের দাম

কুমিল্লায় বেড়েই চলেছে ডাবের দাম। প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। এতে প্রয়োজন হলেও ডাব কিনে খেতে পারছে না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে চাহিদা, যে কারণে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

মেহেদী নামে এক ডাব বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ পিচ ডাব বিক্রি করি। ডাবগুলো নোয়াখালী কিংবা নিমসার থেকে আনা হয়। প্রতিটি ডাব পাইকারি হিসাবে ৫০-৭০ টাকা হারে কেনা হয়। খুচরা বিক্রি হয় ৮০-১২০ টাকায়। গরম হওয়াতে ডাবের চাহিদা বাড়ছে, মানুষ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাব খাচ্ছে। ডাবের দাম বেশি, অনেকে দাম বেশি শুনলে চলে যায়।

 

কুমিল্লা মেডিকেলের সামনে মোহাম্মদ আলী খুচরা ডাব বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৫০টি বেশি ডাব বিক্রি করেন। ডাক্তারা রোগীদের বেশি সময় ডাবের পানি খেতে বলেন। প্রতিটি ডাব ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন। তিনি নোয়াখালী থেকে আনা ডাব বিক্রি করেন।

 

কুমিল্লার ডাব কেন বিক্রি করেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডাব বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, কুমিল্লার ডাব পাওয়া যায় কম, দাম বেশি, কুমিল্লার ডাব আকারে ছোট ও পানি কম হয়, কিন্তু ডাবের পানি খুবই টেস্ট। হাসপাতালের সামনে ডাব একটু বেশি বিক্রি হয়, ক্রেতারা রোগীর জন্য ডাব কিনে এবং নিজস্ব তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাব কেনেন। যেহেতু ডেঙ্গু মৌসুম, এখন একটু ডাব বেশি বিক্রি বেশি হয়।

 

নাফিস হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর। এক আত্মীয় কুমিল্লা সরকারি মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি। রোগীর জন্য ডাব কিনতে এসে বলেন, ডাবের দাম বেশি। একটি ডাবের দাম যদি ৮০ থেকে ১২০ টাকা হয়, এটি বেশিই।

 

কুমিল্লা শহরে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, রাণীর বাজার, চকবাজার, শাসনগাছা ও টমছম ব্রিজসহ কুমিল্লা নামকরা প্রায় সকল হসপিটালের সামনে খুচরা ডাব বিক্রি হয়।

কুমিল্লার পাইকারি বিক্রেতা শিব নারায়ণ শাহ বলেন, নোয়াখালীতে থেকে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ডাব এনে আমরা কুমিল্লায় খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে বিক্রি করি। আমরা ডাব (একশত) হিসাবে ৫০-৭০ টাকা কিনে খুচরা বিক্রেতার কাছে ৬০-৮০ টাকা বিক্রি করি। তারপর খুচরা বিক্রেতারা ৮০-১২০ টাকা করে বিক্রি করে।

ডাবের উপকারিতা সম্পর্কে কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. জামাল হোসেন ফরহাদ বলেন, ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি আছে। তবে উপকারিতা বেশি। দেহে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পানি ও খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিলে ডাবের পানি পান করা উত্তম।

 

এ ছাড়া বিভিন্ন রোগের প্রধান ওষুধ হিসাবে কাজ করে ডাবের পানি। ডায়রিয়া বা কলেরা রোগীদের ঘনঘন পাতলা পায়খানা, বমি ও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ডাবের পানি খুবই কার্যক্রর ভূমিকা পালন করে।

আরও খবর

Sponsered content