জাতীয়

পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ

পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ

ট্রান্সজেন্ডার বিকৃত যৌনাচার এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ্য করে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে শরীফ ও শরীফার গল্প বাদ দিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসানের পাঠানো নোটিশে শরীফ শরিফার গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

 

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া এক নয়, এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। হিজড়ারা জন্মগতভাবেই কিছুটা বিকৃত অঙ্গ নিয়ে জন্মায়। এটা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডারদের শারীরিক কোনো ত্রুটি থাকে না, তারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। উদাহরণস্বরূপ একজন ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ মনে করে সে একজন নারী। অপরদিকে একজন নারী ট্রান্সজেন্ডার মনে করে সে একজন পুরুষ।

 

এই ট্রান্সজেন্ডাররা বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হয়, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ- বলা হয় নোটিশে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেওয়াসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই বই প্রত্যাহার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সংশোধিত বই সরবরাহ করতে বলা হয়।

 

অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে জানান আইনজীবী।

 

আরও খবর

Sponsered content