বিনোদন

জনপ্রিয়তায় অনন্য রেকর্ডে আরবি সঙ্গীত ‘আলিফুন-বা’

জনপ্রিয়তায় অনন্য রেকর্ডে আরবি সঙ্গীত ‘আলিফুন-বা’

‘আলিফুন বা, তাউন ছা’- আরবি ২৯টি হরফের এই আরবি সঙ্গীতটি দর্শক-শ্রোতাদের মনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গানটি শোনেনি, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শিক্ষক কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের সুরে সুরে আরবি হরফগুলো পড়াচ্ছেন- এমন একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইসলামী সঙ্গীত-শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, সাইফুল্লাহ নুর ও কলরবের শিশুশিল্পীরা।

 

গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কলরব পরিবেশিত এই সঙ্গীতটি শুধুমাত্র ইউটিউবেই প্রায় ২০ লাখ মানুষ দেখেছেন। তাছাড়া রিলিজের অল্প সময় পর থেকেই বাংলাদেশে মিউজিক ট্রেন্ডিংয়ে সবার শীর্ষে রয়েছে ‘আলিফুন বা, তাউন ছা’ সঙ্গীতটি।

 

ইউটিউবের হলি টিউন চ্যানেলে গত ২৩ নভেম্বর সঙ্গীতটি শ্রোতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পাশাপাশি উন্মুক্ত করা হয় হলি টিউনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজেও। ওই ভিডিওতে দেখা যায়- একঝাঁক কচিকাঁচা বালক-বালিকাকে সুরে সুরে ‘আলিফুন বা, তাউন ছা’ শেখাচ্ছেন কলরবের শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। সঙ্গীতে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের’ সাদাশুভ্র পোশাক ও মিষ্টি কণ্ঠ অসংখ্য মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে।

 

জনপ্রিয় আরবি সঙ্গীত ফের কেন গাইলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বেশ আগেই এটি শুনেছি। সম্প্রতি এর একটি মিউজিক ভার্সন নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা এটি খুবই পছন্দ করেছে।

 

আর আমাদের দেশে প্রায় সব শিশুই শৈশবে আরবি শেখে। এ গানটি আরবি বর্ণমালা শেখার ক্ষেত্রে তাদের আগ্রহী করে তোলে। তাই আমাদের শ্রোতাদের অনুরোধ ছিল, আমরা যেন শিক্ষণীয় সুন্দর ভিডিওসহ এটির বাদ্যহীন একটি ভার্সন তৈরি করি। সে চাওয়া থেকেই মূলত আমরা ‘আলিফুন বা’র মিউজিক ভিডিও তৈরির উদ্যোগ নিই।

 

মূল আরবি সঙ্গীতটির মধ্যে কলরব কিছু বাংলা কথামালাও সংযুক্ত করেছে। এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ বদরুজ্জামানের ভাষ্য- ‘আমাদের এ ভিডিও যেহেতু বাংলা ভাষাভাষী শিশুরা বেশি দেখবে, তাই এতে আরবি ভাষার গুরুত্ব বোঝাতে বাংলা লিরিক সংযুক্ত করেছি। এতে করে আমাদের আয়োজনটি হয়েছে অন্যদের চেয়ে আলাদা এবং এজন্য মানুষ মূল সঙ্গীতটির পাশাপাশি এটিকেও বেশ ভালোভাসে গ্রহণ করে নিয়েছে।

 

জনপ্রিয় এই সঙ্গীতটির ভিডিও বানিয়েছেন, তরুণ নির্মাতা ফারুক তাহের। অডিও সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন খিজির মুহাম্মদ এবং বাংলা অংশের লিরিক ও টিউন স্বয়ং মুহাম্মদ বদরুজ্জামানের।

 

আরও খবর

Sponsered content