এক্সক্লুসিভ

চাঁদের বুকে পায়ের ছাপ নিয়ে যত সংশয় ও তার ব্যাখ্যা!

চাঁদের বুকে পায়ের ছাপ নিয়ে যত সংশয় ও তার ব্যাখ্যা!

মানুষ কি চাঁদে গিয়েছিল? ছবি, ভিডিওসহ অসংখ্য অকাট্য প্রমাণ আছে। তবু একদল মানুষ মাঝে মাঝে প্রশ্ন তোলে, কনস্পাইরেসি থিওরি কপচায়। কিছু ব্যাপ্যারে তাদের খটকা আছে, কিছু প্রশ্ন আছে। সেসব প্রশ্নের একে একে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

 

চাঁদে নভোচারীদের যে পায়ের ছাপ, সেটা কিভাবে হলো? এ প্রশ্ন তুলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন সন্দেহবাদীরা। তাদের যুক্তি হলো, চাঁদের মাটিতে পানি নেই। শুকনা নুড়ি পাথরে ভরা। কিন্তু নভোচারীদের যে পায়ের ছাপ সেখানে দেখা যায়, সেগুলো দেখলে মনে হয়, কেউ বুঝি কাদার ওপর পায়ের ছাপ এঁকেছে। তাদের মতে, এটা আসলে ভুয়া ছবি। এরও ব্যাখ্যা আছে বিজ্ঞানীদের কাছে।

 

এ বিষয়ে আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্ক রবিনসন বিবিসিকে বলেন, চাঁদের মাটি আসলে একধরনের পাথর আর ধুলোর মিশেলে তৈরি। মাটির ভেতরটা অনেকটা ফাঁপা। তাই পা পড়লেই এটা দেবে যায়। আর আর্দ্রতা নেই বলে জুতার সঙ্গে বালু আটকায় খুব কম পরিমাণে।

 

তা ছাড়া বাতাস নেই বলে পা তুলে নেওয়ার পর বালুটা ওলটপালট হয় না বললেই চলে। মরুভূমির বালু থেকে পা তুলে নিলে জুতার সঙ্গে সংঘর্ষ বাতাস ছাপের ওপর ফেলে। ফলে ছাপ বিকৃত হয়। কিন্তু চাঁদে বাতাস না থাকার কারণে তেমনটা হয় না। তাই ছাপ এত স্পষ্ট।

 

পায়ের ছাপ কেন মেলে না?

নিল আর্মস্ট্রংয়ের স্পেসস্যুটের একটা ছবি আছে। নিচের ছবিতে যে জুতার তলাটা দেখা যায়, সেটার সঙ্গে চাঁদে নভোচারীদের পায়ের যে ছাপ আছে, তার সঙ্গে কিছুতেই মেলে না। কেন মেলে না?

ব্যাপারটা খুব সহজ। নভোচারীরা যখন মহাকাশযানে থাকেন তাদের জুতা একরকম। যখন চাঁদে নামেন, তখন আরেক ধরনের জুতা পরতে হয়। বিশেষ করে নভোযানের জুতার ওপরই এই বিশেষ জুতা পরতে হয়। সেটার নাম আউটার বুট।

ওপরের ছবি দেখে আউটার বুট আর এগুলোর নিচের ছাপটা দেখে নিতে পারেন।

 

সূত্র: নাসা, বিবিসি, নিউ সায়েন্টিস্ট