সারাদেশ

কুষ্টিয়া-৩ আসন: হানিফের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন মেয়রপুত্র তনু

কুষ্টিয়া-৩ আসন: হানিফের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন মেয়রপুত্র তনু

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে (কুষ্টিয়া-২ আসন বাদে) তিনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটি আসনেই প্রার্থী অপরিবর্তিত রয়েছেন। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

 

আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু। আজ সোমবার বিকেলে নিজের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সহিদুর রহমানের কাছ থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

 

পারভেজ আনোয়ার তনু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বতন্ত্র ভোট করতে বলেছেন। আমি মানুষের সেবা করতে চাই। আমি মনে করি, কুষ্টিয়ার আরও উন্নয়ন হওয়া উচিত।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে আনোয়ার আলীর সম্পর্ক ভালো নয়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তাঁদের সঙ্গে মন-কষাকষি রয়েছে। একটা সময় জেলায় আনোয়ার আলীর একটি আলাদা রাজনৈতিক বলয় ছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এখন তা নেই বললেই চলে। জেলার রাজনীতিতেও তিনি তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই। তা ছাড়া দীর্ঘদিন চেষ্টা করে রাজনীতিতে ছেলেকে তেমন অবস্থান তৈরি করে দিতে পারেননি তিনি।

 

সূত্র জানায়, পারভেজ আনোয়ার তনু প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে পদ-পদবি না থাকলেও দলে আলাদা অবস্থান রয়েছে। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক। দুবার জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। সবশেষ জেলা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

তবে দলীয় নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়া-৩ আসনে হানিফের বিকল্প কাউকে ভাবছিলেন না। কারণ, গত ১০ বছরে কুষ্টিয়া সদর আসনে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মাহবুব উল আলম হানিফের প্রতি দলমত-নির্বিশেষে সবাই আস্থা রেখেছেন। এবার তৃতীয়বারের মতো সদর আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

 

হানিফ ছাড়া এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনজুমান লাইলা বানু এবং ইউকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহাতাবুল হক জয়।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকাকে জেতানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই এর বাইরে আমরা কিছু ভাবছি না।

 

এদিকে মনোনয়ন না পাওয়ায় কুষ্টিয়ার আরও দুটি আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে (স্বতন্ত্র) নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী এবং কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক এমপি আব্দুর রউফ।

 

আরও খবর

Sponsered content