সারাদেশ

ছেলের যাবজ্জীবন মাকে হত্যার দায়ে

ছেলের যাবজ্জীবন মাকে হত্যার দায়ে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

 

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিসনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।

 

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজি বাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী ও কারাদণ্ড প্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার তারই ছেলে।

 

মামলার বিবরণ ও বাদী মো: রুহুল আমিন মিজির সাথে আলাপ করে জানা যায়, আসামি বাহার এক সময় প্রবাসে ছিল। দেশে এসে সে অনেক সময় এলোমেল কথাবার্তা বলতো। যার ফলে তার স্ত্রী তাকে ফেলে চলে যায়। পরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতো।

 

ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই গভীর রাতে মায়ের ঘরে প্রবেশ করে বাহার মাকে অতর্কিত মারধর করে। ধাক্কা ধাক্কিতে ঘরের স্টীলের দরজার আংটা মার চোখে ঢুকে গেলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

 

ঘরের অন্য সদস্যরা চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে এসে ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাপসাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে।

 

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো: রুহুল আমিন মিজি পরদিন ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহার’কে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি রনজিত রায় চৌধুরী বলেন, মামলাটি ৪ বছরের অধিক সময় চলাকালীন আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলায় স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় প্রদান করা হয়। রায় প্রদানকালে আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে সরকার থেকে নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এড. সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।

আরও খবর

Sponsered content