সারাদেশ

বর্তমান বাজারে পরোটা- ভাজিতেই ৫০ শেষ, ডিম যেন বিলাসিতা

বর্তমান বাজারে পরোটা- ভাজিতেই ৫০ শেষ, ডিম যেন বিলাসিতা

বর্তমান বাজারে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবারের খরচ বহন করতে হিমিশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের। এর মধ্যে সকালে শুধু পরোটা ডাল খেতেই গুনতে হচ্ছে অর্ধশত টাকা। অন্যদিকে ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নাস্তার তালিকা থেকে অনেকেই বাদ দিয়েছেন ডিমের নাম।

 

সরেজমিনে সোমবার (৬ নভেম্বর) মোহাম্মদপুরসহ আশেপাশের হোটেলগুলোতে দেখা যায়, মাথাপিছু শুধু ডাল ভাজির দামই রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা করে। এর সাথে পরোটা যোগ করলে তা বেড়ে দাড়াচ্ছে ৫০ টাকায়।

 

এছাড়া এর সাথে ডিম যোগ করলে তা বেড়ে দাড়ায় ৭০ টাকায়। শুধু নাস্তাই নয় বেড়েছে সকল প্রকার খাবারের দামও। ছোট এক প্লেটে ভাতের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা করে। গরু-মুরগীর দামে আগুন হওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এসব।

 

হোটেলের ক্রেতা রুহুল জানান, ‘আগের মত আর সব কিছু খেতে পারিনা, সব কিছুর দাম বাড়লেও আমাদের বেতন বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই কমিয়ে দিতে হচ্ছে খাওয়া দাওয়া। আগে সপ্তাহে দুই বার মুরগী খেলেও এখন খেতে হচ্ছে এক বার। এভাবে কদিন চলবে আল্লাহ জানেন।

 

অপর এক ক্রেতা লাবিন জানান, ‘ভাই আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী। পরিবার বাড়িতে গেলে মাঝে মাঝে হোটেলে খেতে হয়। তবে হোটেলে খাবারের এত দাম যে ভর্তা ছাড়া অন্য কিছু খাওয়ার সাহস হয়না। এক একটা ভর্তার ২০ টাকা করে। ১৫০০০ টাকার বেতনের ৫ হাজার চলে যায় ঘড় ভাড়াই, এরপর বাকি টাকায় বউ ছেলেমেয়ে নিয়ে চলতে খুব হিমশিম খেতে হয়।

 

এ ব্যাপারে হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, তাদের কিছুই করার নেই। ‘দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তার সাথে তাল মিলিয়েই সবকিছু বিক্রি করতে হয়। এখন সবকিছুর দাম চড়া তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

 

দ্রব্যমূল্যের এ টানাহেচড়ায় এখন সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিম্নশ্রেণীর আয়ের মানুষ। সামান্য এ আয়ে এক একটি দিন পার করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়িয়েছে এসব মানুষের কাছে।

 

আরও খবর

Sponsered content