3 November 2023 , 5:14:25 প্রিন্ট সংস্করণ
টিভি অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। আজ (২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার পর এই শিল্পীকে উত্তরার আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এর পরপরই হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ অভিনেত্রীর প্রেমিক জিয়াউল।
পরিস্থিতির বিস্তারিত জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। তিনি ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘আজ বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে হিমুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। তাঁরা জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই ওর মৃত্যু হয়েছে।
নাসিম আরও বলেন, ‘আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় মেকআপ আর্টিস্ট মিহির ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ কল করলে তাঁর প্রেমিক হিমুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে হাসপাতালে উপস্থিত আছেন শিল্পী সংঘের আরও দুই নেতা রওনক হাসান ও ঊমির্লা শ্রাবন্তী কর। এরমধ্যে শ্রাবন্তী ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘পুলিশ পৌঁছার আগেই হিমুর প্রেমিক পালিয়েছে। পুলিশ মিহিরকে নিয়ে তাঁকে ধরতে বের হয়ে গেছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের আগে মারা যাওয়ার কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে খবর রটেছে, উত্তরার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন হিমু। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো পক্ষই। উল্লেখ্য, মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন হুমায়রা হিমু। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’তে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।
একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু অভিনয় করেন সিনেমাতেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমায় ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন তিনি।