সারাদেশ

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশ ও অসাধু বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশ ও অসাধু বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আজ দুপুরে ১ সময় কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলা কলাবাগান ও হরিপুর এলাকার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী রাসেল আহমেদ বলেন। আমি গত পহেলা বৈশাখ আমার রাসেল এন্টার প্রাইজ নামে। নাটোর লালপুরের বালুমহলটি ইজারা প্রায় ১৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকায় এক বছরের জন্য নাটোর জেলা প্রসাশক হইতে ইজরা প্রাপ্ত হয়।

 

কিন্তু আপনাদের এখান থেকে রাজবাড়ীঘাট থেকে আসা বালুবহনকারী সকল নৌকা ও বলগেট কুষ্ঠিয়া কুমারখালী, এবং গড়াইল নদীর মুখে ও হরিপুর চরে পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশের পাহারায় একটি প্রভাবশালী চক্র প্রতিদিনি লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে স্বল্প ,মূল্য বালু বিক্রি করে আসছে। তাতে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এখানে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে আমার বৈধ বালি ঘাটে কোন নৌকা বলগেট যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

তাদেরকে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে ।ও শারীরিকভাবে মারধর করা হচ্ছে । এতে করে আমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছি। তাই আপনারা জাতির বিবেক আপনাদের কে স্বজমীনে নিয়ে এসে এই অবৈধ বালু ঘাটটি দেখানোর চেষ্টা করছি কিভাবে নৌ পুলিশের পাহারাই সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাকি দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে চলছে। এ ব্যাপারে গত ২৯/০৫/২০২৩ইং সালে মহামান্ন হাই কোর্ট একটি আদেশ জারি করেছেন।

 

এখানে সু-স্পষ্ট ভাবে বলেছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পাকশী হাডিং ব্রিজ পর্যন্ত পদ্মার তল দেশ হইতে কোথাও কোন বালি উত্তোলন করা যাবে না। এবং পাবনা কুষ্ঠিয়া ও রাজবাড়ী জেলা প্রসাশক কোথায় কোন ইজারাও বালু উত্তোলনের মৌখিক অনুমোদন দিতে পারিবে না।

 

একই সঙ্গে ১৪ইং এপ্রিল থেকে এসব এলাকাথেকে বালু উত্তোলন বন্ধের ও নিদ্ধের্শ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় মহামান্ন হাইকোর্টের দিয়া ৭০৩০/২০২২ একটি মামলার রিটে এই এলাকা গুলো বালু উত্তোলন বা ইজারা বন্ধ থাকিবে। বিধায় আমি সরকারকে, সরকারি ইজারা মূল্য দ্বিগুন টাকা বেশি দিয়ে নাটোরের লালপুর দিয়াড় বাহাদুরপুর মৌজাটি ইজারা নেই। কিন্তু এখন দেখি মহামান্ন হাইকোর্টে আদেশ কে বিদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে পাবনা ও কুষ্টিয়ার জেলার কিছু অসাধুবালু কারবারি ব্যবসায়িরা পদ্মা নদী থেকে অদ্ধবধি পর্যন্ত নৌ পুলিশ পাহারা প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকায় বিক্রি করায় আমি অনেক টাকার ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে পড়েছি।

 

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা প্রসাষক ও নৌ পুলিশ সুপারকে একের অধিক তাদের দপ্তরে আবেদন করার পর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের করার কোন সিদ্ধন্ত নেইনি। বরং তাদেরি পুলিশ পাহাড়া দিয়ে বালু উত্তোলন কারার সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। এতে করে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং এই অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সরকারে অনেক প্রত্যাশিত আঙ্খকৃত রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মারাত্মক ভাবে ঝুকির সম্মুখিন হতে চলেছে এর সাতে সাতে দীর্ঘদিনের পুরাতন পাকশী হার্ডিব্রিজটি পিলারের মাটি সরে গিয়ে সেটাও হুমকির সম্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে জাবার আশঙ্কা আছে।

 

এমতাবস্থায় আপনার মাধ্যমে জানাচ্ছি যে এই ভাবে অবৈধ বালু উত্তোল বন্ধ না হইলে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বো। আমার সাথে থাকা ৫০টি পরিবারও অনেক বড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে। আমি ব্যাংক লোন করে ও অন্যান্য এনজিও থেকে টাকা লোন করে এই বালু মহলটি সরকার কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ছিলাম কিছু লাভের আসায়। আমি জানচ্ছিলাম যে এই অঞ্চলে কোথায় কোন বালুমহন ইজরা দেওয়া হবে না।

 

যেহেতু মহামান্ন হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে গোয়ালন্দ ঘাট থেকে পাবনার পাকশী পর্যন্ত ইজরা দেওয়া হবেন বা কোথায় কোন বালু উত্তোলন করা যাবে না। তাই আমি দ্বিগুন টাকা দিয়ে বালুমহনটি ইজারা নিয়েছিলাম কিন্তু অবৈধ বালু উত্তোলন করার ফলে আমি এখন অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখে হতে চলেছি। তাই আপনাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ বলছি অবৈধ বালিরা ঘাট বন্ধ করা হোক।

 

আরও খবর

Sponsered content