সারাদেশ

এক নারীকে অফিসের চেয়ারে বসিয়ে যুবকের অন্তরঙ্গ ছবি

এক নারীকে অফিসের চেয়ারে বসিয়ে যুবকের অন্তরঙ্গ ছবি

সরকারি চাকরি বিধিমালাকে না মেনে অফিসের চেয়ারে এক নারীকে বসিয়ে ফুর্তি এবং ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাবে ছবি তোলার অভিযোগ ওঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে তোলপাড়।

 

এ নিয়ে বিভিন্ন উপজেলার সরকারি কর্মচারীদের মাঝেও হচ্ছে সমালোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার কার্যালয়ের সার্টিফিকেট শাখায় কর্মরত সার্টিফিকেট সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে।

 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংস্থাপন বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকতা মো. ছাইয়েদুর রহমান খান জানান, সরকারি অফিসে কর্মকতা/কর্মচারি ছাড়া এভাবে কাউকে বসিয়ে ছবি তোলা সরকারি চাকরি বিধি মালায় নিষেধ রয়েছে।

 

তবে সার্টিফিকেট সহকারী মো. আলাল মিয়া জানান, অফিসে সেই দিন পিকনিক ছিলো। এছাড়া ছবি তোলা ওই নারী তার আপনজন বলে দাবি করেন তিনি। তবে তার স্ত্রী কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে উত্তর না দিয়ে মোবাইল কেটে দেন।

 

জানা গেছে, সার্টিফিকেট সহকারী মো.আলাল মিয়া স্ত্রী-সন্তান রেখে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সরকারি অফিসে অন্য মেয়ে নিয়ে ফুর্তির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও রয়েছে নানান অভিযোগ।

 

এ ঘটনায় উপজেলার কাকিনা চাপারতল গ্রামের আমির আলী নামের এক ব্যাক্তি গত ২৭ আগস্ট সার্টিফিকেট সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেলা প্রশাসকের কাছে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. জহির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্টিফিকেট সহকারী আলাল মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হয়েছে বলে আমি জানি। জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নিবেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, সরকারি অফিসের চেয়ারে অফিস রুমে কর্মকতা/কর্মচারী ছাড়া বসে ছবি তোলা বা অনৈতিক কার্যক্রম করা কোন ভাবেই সম্ভব না। যা সরকারি চাকরি বিধি বহিভূর্ত। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content