সারাদেশ

জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার পেলেন ইমামসহ ৪০ জন

শিশু-কিশোর, কিশোরী ছাড়াও যুবক, বৃদ্ধসহ নানান বয়সের মানুষকে নামাজের প্রতি উৎসাহিত করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদারীপুরের এক ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান। সেই ঘোষণা অনুযায়ী টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় ও রোজা পালন এবং কোরআন তেলওয়াত করে পুরস্কার জিতে নিয়েছেন একটি মসজিদের ইমামসহ ৪০ জন কিশোর, কিশোরী, যুবক ও বৃদ্ধ। আর এ সকল পুরস্কার পেয়ে এলাকার ভিতরে নামাজ নামাজের প্রতি উৎসাহিত হয়েছেন অনেক যুবক যুবতীরা কিশোর কিশোরী ও বৃদ্ধরা।

 

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) উপজেলা আলিনগর ইউনিয়নের চর হোগলপাতিয়া এলাকার বাইতুন নূর জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তাদের মাঝে এই পুরুস্কার তুলে দেন।

 

ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগে ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান ঘোষণা দিয়েছিলেন, সব বয়সের মানুষ যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে নিয়মিত রোজা ও কোরআন শরীফ খতম করেন, তাহলে তাদেরকে একটি করে কাচের ডিনার সেট ও কাচের প্লেট, কাচের মগসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুরস্কার দেওয়া হবে।

 

যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ৪০ দিন জামাতের সঙ্গে আদায় ও রোজা পালন করেছেন তাদের জন্য ছিল কাচের ডিনার সেট এবং যারা এর কম ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন তাদের কাচের প্লেট ও মগ দেওয়া হয়েছে। এতে উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেকই নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেন।

 

টানা ৪০ দিন পর শুক্রবার নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করেছেন এমন ৪০ জনের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রথম পুরস্কার পান বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম সাহেব মেহেদী হাসান। এ সময় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন মসজিদের সভাপতিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গরাও।

 

পুরস্কার বিজয়ী নাফিজা আক্তার বলেন, এরকম আয়োজন আমাদেরকে আরও উৎসাহিত করেছে। যাতে আমরা ঠিকমতো নামাজ পড়তে পাড়ি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

 

আরেক পুরস্কার বিজয়ী হাফিজা আক্তার বলেন, আমি পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিয়মিত রোজা এবং নামাজ বাড়িতে ঠিকমতো আদায় করেছি এই পুরস্কার পেয়ে এতে আমি অনেক খুশি।

 

স্থানীয়রা জানান, শিশু-কিশোর ও নানান বয়সীদের মসজিদমুখী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসানের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

 

ইমাম বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মেহেদী হাসান বলেন, মাহমুদুল হাসানের এই উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এভাবে এলাকার অনেক যুবকরা নামাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে করে নানান বয়সের লোক মসজিদমুখী হয়েছে। এভাবে যদি প্রত্যেকে এমন মহৎ কাজ করে তাহলে সবার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হবে।

 

ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘোষণার পর থেকে প্রায় শতাধিক নানান বয়সের লোকজন মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় শুরু করেন। তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছেন কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাদের নাম ডাকা হত।

যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতেন তখন তার গণনায় লাল চিহ্ন ব্যবহার করা হত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমামসহ ৪০ জন বিজয়ী হন।

 

মূল বিষয় হলো সমাজের কিশোর কিশোরী যুবকরা যাতে খারাপ কাজে লিপ্ত না থাকে এ কারণে এই আয়োজন করা হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content