সারাদেশ

ঢাকা থেকে মাদারীপুর এনে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, বিয়ের প্রলোভন

ঢাকা থেকে মাদারীপুর এনে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, বিয়ের প্রলোভন

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহকর্মীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান ভুক্তভোগী নারী। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ডাসার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন- বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের এসকেন্দার হাওলাদারের ছেলে দুলাল হাওলাদার, একই এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. ইদ্রিস হাওলাদার, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের রকমান শেখের ছেলে মো. মানিক শেখ এবং ঢাকার মিরপুর এলাকার চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিক।

 

মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুর এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় থাকেন। সে সুবাদে তার বাসার সামনে চায়ের দোকানদার বাবু ওরফে মানিকের সঙ্গে পরিচয়।

 

চায়ের দোকানদার বাবু তাকে বলেন- মো. মানিক শেখের কাছে ভালো একটি ছেলে আছে। সেই ছেলের বাড়ি দেখে আসতে পারো, পছন্দ হলে আমরা সবাই মিলে তার সঙ্গে তোমাকে বিয়ে দেবো। বাবুর কথায় ভুক্তভোগী নারী রাজি হন।

 

পরে আসামি মানিক শেখের মোটরসাইকেলে গত বুধবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর এলাকার থেকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর এলাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পরে বরিশালের গৌরনদী পৌঁছালে মানিক শেখ বলেন- দুলাল হাওলাদারের সঙ্গে তোমার বিয়ে হবে।

 

তার বাড়ি তুমি দেখে ও চিনে রাখো। সেখান থেকে তারা রাত ৯টার দিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ভুক্তভোগীকে।

 

কালাম ব্যাপারী আসামি ইদ্রিসের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে চারজনকে তাদের ঘরে থাকতে দেন। এরপর কালাম ব্যাপারীর স্ত্রী সবাইকে খাবার-দাবার দেন। খাওয়া শেষ করে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন।

 

এরপর দুলাল হাওলাদার, মানিক শেখ, ইদ্রিস এবং ভুক্তভোগী নারী টেলিভিশন রুমে বসে টেলিভিশন দেখতে শুরু করেন। এ সময় মানিক শেখ ভুক্তভোগী নারীকে দুলাল হাওলাদারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে প্রস্তাব দেন।

 

এতে ঐ নারী রাজি না হলে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে চারজন ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এরপর ঐ রাইতেই তারা পালিয়ে যান। পরের দিন সকালে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি বাড়ির মালিক কালাম ব্যাপারীসহ নিজের স্বজনদের জানান। স্বজনদের পরামর্শে মাদারীপুরের ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ঐ নারী।

 

ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content