সারাদেশ

চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৬বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন(২০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে জেলার সদর উপজেলার নবী নগর এলাকার বাসিন্দা।সোমবার সন্ধ্যার পূর্ব সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক ভাবে তিনি দোষ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

 

এরপূর্বে শনিবার বিকেলে নবী নগর এলাকার শিশুটিকে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একেই দিন সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়,অন্যের বাসায় কাজ করতে যায় শিশুটির মা আর বাবা ভ্যান নিয়ে বাজারে গিয়ে ছিলেন। আর শিশুটি তার নিজ বাড়ির পাশে উঠানে একাই খেলা করছিল।

সে সময় পাশের বাড়ির আলা উদ্দিন চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার হাতে ২০টাকা গুঁজে দেন। এরপর শিশুটিকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের শিকার হয়ে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাইরে এলে প্রতিবেশীরা তাকে দেখতে পান। পরে ঘটনা জানাজানি হলে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যান আলাউদ্দিন।

খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বাড়ি এসে বিকেলেই অসুস্থ শিশুটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাড়ি পরিদর্শনে যান সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেন।

মামলায় মাইজবাড়ি পূর্ব পাড়ার (বর্তমান নবীনগর) আলাউদ্দিন(২০), তেঘরিয়া মাঝের হাটির বিল্লাল হোসেন(২৪) এবং পার্বতীপুরের জাহিদ(২৪) আসামি করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে আপোষ করতে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারকে বিবাদীর পরিবারের সদস্যরা চাপ দেন বলে মামলার এজারে উল্লেখ করা হয়। তবে শিশুটির বাবা তাতে তিনি রাজি না হলে তাকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়।

এই ঘটনার আলাউদ্দিনকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আলাউদ্দিনের বাবা,মা,মামাতো ভাই ও ভগ্নিপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে তার মা-বাবাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ খালেদ চৌধুরী জানান,সোমবার সন্ধ্যার দিকে আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে সে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। শিশুটি বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন আছে।

আরও খবর

Sponsered content