বিনোদন

তিনি একজন নির্লজ্জ মানুষ, নিপুণের প্রতি ইঙ্গিত জায়েদের

তিনি একজন নির্লজ্জ মানুষ, নিপুণের প্রতি ইঙ্গিত জায়েদের

নিপুণ আক্তারকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যের অভিযোগে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারিয়েছেন জায়েদ খান। আর এই খবর শুনে আবারও নিপুণের কড়া সমালোচনা করলেন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এমনকি এই সদস্যপদ বাতিলকে অবৈধ বলে প্রতিবাদ করেছেন জায়েদ খান। 

 

তিনি বলেন, ‘‘আমি সমিতিকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। আমি ব্যক্তি নিপুণকে বলেছি। এখনো বলছি, তিনি একজন নির্লজ্জ মানুষ। পরাজিত হয়েও এত দিন সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে ছিলেন। এ কারণেই আমি তার বিরুদ্ধে বলেছি। এটি সমিতির গঠনতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না।

 

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার সদস্যপদ বাতিলের জন্য মাত্র একটি চিঠি দিয়েছে সমিতি। সেটিও অবৈধ মনে করি। কারণ, চিঠিটিও নিপুণ স্বাক্ষরিত ছিল। যিনি নির্বাচিতই নয়, সে আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। তা ছাড়া এই পদের মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে।

 

তারপরও আমি চিঠির উত্তর দিয়েছি। আমার চিঠি পাওয়ার পর চূড়ান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুটি চিঠি সমিতির আমাকে দিতে হবে। কিন্তু কোনো চিঠি দেয়নি। শুনলাম, পিকনিকে ইসি কমিটির সিদ্ধান্তের লিখিত চিঠি পাঠ করেই আমার সদস্য বাতিল করে দিয়েছে।

 

কিন্তু সেখানে সাধারণ সদস্যদের হাত তুলে মতামত লাগে। সেটিও তো দেখলাম না। বড় কথা, পিকনিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে এভাবে দ্বিবার্ষিক সভা করা আগে সমিতির কোনো কমিটির বেলায় দেখিনি। পুরো প্রক্রিয়াটিই অবৈধ।

 

সমিতির সদস্যপদ বাতিলে খারাপ লাগছে কি না প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘‘খারাপ লাগার কিছু নাই। আমি সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েও পদে বসতে পারিনি, এর চাইতে তো খারাপের কিছু হতে পারে না। অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্ত আমি বিচলিত নই। এর আগে, শিল্পী সমিতির ৭-এর (ক) ও (ঞ) ধারা দেখিয়ে শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। তিনি এই নির্বাচনে ভোটও দিতে পারবেন না।

 

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই বছর ধরে টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে ধারাবাহিকভাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে আসছিলেন। পাশাপাশি কোনো কোনো সময় সমিতিকেও নিয়েও কথা বলেছেন। সব মিলিয়ে সমিতির মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।

 

সদস্যপদ বাতিল নিয়ে জায়েদ খানের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে নিপুণ বলেছেন, ‘‘আমি তো সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সমিতিকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আমার বিরুদ্ধে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন জায়েদ খান। এভাবে প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে আমাকে নিয়ে বলাতে সামাজিকভাবে আমার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। এতে সমিতিকে ছোট করা নয়?

 

তিনি বলন, ‘‘সমিতিকে ছোট করে কিছু বলেননি। আমার কাছে সব তথ্যই সংগ্রহ আছে। তার বিরুদ্ধে যা যা করা হয়েছে, সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই করা হয়েছে। এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।

 

আরও খবর

Sponsered content