15 February 2024 , 6:23:59 প্রিন্ট সংস্করণ
বগুড়ার ধুনটে তরুণীকে ক্লিনিকে নিয়ে সিজারিয়ানের পর তার নবজাতককে লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী মঙ্গলবার রাতে ধুনট থানায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ওসি সৈকত হাসান জানান, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বগুড়ার ধুনট সদর ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের মৃত আশাদুল ইসলামের মেয়ে আয়শা আকতার (১৮) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি বেলকুচি গ্রামে নানি আছিয়া বেওয়ার সঙ্গে বসবাস করে আসছেন। এক বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে নওগাঁর নজিপুরের সোহেলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা বেলকুচি গ্রামে সংসার করছিলেন। কিছুদিন পর সোহেল কাজের জন্য অন্ত:সত্ত্বা আয়শা আকতারকে রেখে ঢাকায় চলে যান।
এদিকে ধুনট সদর ইউনিয়নের বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন গত ২৮ নভেম্বর সম্পর্কে নাতনি আয়শাকে প্রসবের জন্য শেরপুরের মাহবুব ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে সিজারের মাধ্যমে ছেলেসন্তান প্রসব করেন। আয়শার জ্ঞান ফেরার আগেই রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার তিন সহযোগী এক লাখ টাকায় শিশুটিকে এক নি:সন্তান পুলিশের কাছে বিক্রি করে দেন।
জ্ঞান ফেরার পর আয়শার কাছে কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও ঘটনাটি গোপন করতে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে তিনি তার নবজাতককে বিক্রির কথা ফাঁস করে দেন। এ খবরে গ্রামবাসীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
এতে বিএনপি নেতা শাহীন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িতে গিয়ে অসহায় মা আয়শা আকতার এবং তার বৃদ্ধা নানি আছিয়া বেগমকে হুমকি দেন। অব্যাহত হুমকি-ধমকিতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাবেক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন বলেন, নবজাতকের মা আয়শা আকতার তার চাচাতো বোনের নাতনি হন। ক্লিনিকে অপারেশনের আগে কাগজে তিনি শুধু অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর (বন্ডসহি) দিয়েছেন। বাচ্চাটি বিক্রি বা টাকা লেনদেনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।