শিক্ষাঙ্গন

যবিপ্রবিতে নিয়োগে দুর্নীতি সাবেক ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যবিপ্রবিতে নিয়োগে দুর্নীতি সাবেক ভিসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা করেছেন দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আল আমিন।

এ মামলায় আসামির হলেন, যবিপ্রবির পূর্ত দপ্তরের উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুর রউফ, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন হতে ২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রাথমিকভাবে ১০৮ জন জনবলের মঞ্জুরিসহ বেতন বরাদ্দ করা হয়। মঞ্জুরীকৃত পদগুলোর মধ্যে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) পদের মঞ্জুরি ছিল না। তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. আরআই সরকারের স্বাক্ষরে ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে একজনসহ বিভিন্ন পদের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে মো. আব্দুর রউফসহ ২০ জন প্রার্থী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন। নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি অনুযায়ী গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ভিসি প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার। এছাড়াও বাছাই বোর্ডে সদস্য উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ (সদর) আসনের তৎকালীন সংসদ-সদস্য খালেদুর রহমান টিটো (বর্তমানে মৃত), বিশেষজ্ঞ সদস্য ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বাছাই বোর্ড ২০০৯ সালের ২২ আগস্ট উপস্থিত তিনজন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে আবদুর রউফকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদটি বিজ্ঞাপিত না হওয়া সত্ত্বেও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় আব্দুর রউফকে বিজ্ঞাপিত সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)-এর বিপরীতে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য রিজেন্ট বোর্ড সিদ্ধান্ত দেন। প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়ে যবিপ্রবির অনুমোদিত নিয়োগ নীতিমালা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালের ১৪ অক্টোবর অফিস আদেশের মাধ্যমে তার যোগদানপত্র গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালের অক্টোবর হতে ২০২২ সালের পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ তিনি সর্বমোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা ৫২ পয়সা টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content