বিনোদন

নির্বাচনে ধরাশায়ী, দীর্ঘ সময়ের নীরবতা শেষে মুখ খুললেন মাহি

নির্বাচনে ধরাশায়ী, দীর্ঘ সময়ের নীরবতা শেষে মুখ খুললেন মাহি

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত ৯ হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন এই নায়িকা।

 

এদিকে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দীর্ঘসময় কারও সঙ্গে কথা বলেননি মাহি। এমনকি চিত্রনায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত কল রিসিভ করেননি তিনি। অবশেষে দীর্ঘ সময়ের নিরবতা শেষে মুখ খুলেছেন মাহি। শুধু তাই নয়, তানোর-গোদাগাড়ীর উদ্দেশে নতুন বার্তাও দিয়েছেন এই নায়িকা। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ভিডিও বার্তা দেন মাহি। এসময় প্রতিপক্ষের উদ্দেশেও কিছু কথা বলেন তিনি।

 

মাহি বলেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবাই হয়তো ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। হ্যাঁ, নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় কিছুটা তো মন খারাপ। তবে অতোটা না। আর আমি প্রত্যেকটা পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। কারণ আমি জানি, নেগেটিভ কিছু হতেই পারে।

 

চিত্রনায়িকা বলেন, আমি আমার ইশতিহারে যে কথাগুলো বলেছিলাম যে, ঘরোয়াভাবে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি। এগুলো আমি বড় পরিসরে কতোটা করতে পারব সেটা জানি না। কারণ এই কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারিভাবে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া সম্ভব সেটা ব্যক্তিগতভাবে নিতে পারাটা একটু চ্যালেঞ্জিং।

 

তারপরেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করব আমি। আমার তো ভীষণ ইচ্ছা ছিল এবং প্রতিশ্রুতিও ছিল যে, তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা নিয়ে। এখানকার রাস্তাঘাটের যে বেহাল অবস্থা। সারা দেশে যেখানে রাস্তাঘাট এতো উন্নত। বলা যায়, একদম বিদেশের মতো। সেখানে আমার তানোর-গোদাগাড়ীতে এখনও গরুর গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় আছে। এমনকি একটু বৃষ্টিতেই হাঁটু কাদা-পানি হয়ে যায়।

 

উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে মাহি বলেন, যিনি এমপি হয়েছেন, তার কাছে অনুরোধ— তানোর-গোদাগাড়ীর রাস্তাঘাট এবং এই ভূমির পানির মটরের যে সমস্যা এই দুই বিষয়ে ফোকাস করে উন্নয়ন করার জন্য। গত ১৫ বছরে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো আপনি করেন নাই। সেগুলো এই পাঁচ বছরে করবেন।

 

গত ১৫ বছরে আপনার যে জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিল, সেটা যেন এই পাঁচ বছরে কাটিয়ে ওঠেন তিনি। তানা হলে আমি কিন্তু মাঠেই আছি। ইনশাআল্লাহ্‌, আমি পাঁচ বছর পর আপনার সঙ্গে আবারও নির্বাচনে দেখা হবে। আপনার তো জনপ্রিয়তা একদম জিরো। শুধু নৌকা প্রতীকের কারণেই জয়ী হয়েছেন আপনি। তাই আপনাদের খুশি হওয়ার এতো কারণ নেই।

 

প্রতিপক্ষের উদ্দেশে মাহি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে আমার জন্য যে কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে এবং আমাকে উন্নয়নমূলক কাজ করতে সহায়তা করবে। তাদেরকে যদি আপনারা কোনো রকম বিরক্ত করেন, তাহলে আপনাদের সঙ্গে টক্কর দেয় যারা, আমি কিন্তু তাদের মতো দুর্বল না।

 

আমার কর্মীদের যদি অল্প অপমানও করেন তাহলে তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে আমি নিজেই আপনাদের সঙ্গে লড়ব। প্রতিহত করব। যেই কর্মীরা এই নির্বাচনে আপনাদের বিপক্ষে গিয়ে আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের জন্য জানও দিয়ে দিতে পারি।

 

আরও খবর

Sponsered content