বিনোদন

৯০০ কোটি ডলার ছাড়াবে হলিউড বক্স অফিসের আয়?

৯০০ কোটি ডলার ছাড়াবে হলিউড বক্স অফিসের আয়?

বছর শেষ হতে বাকি ১২ দিন। হলিউডের বক্স অফিস এ বছর নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে হলিউড বক্স অফিস মোট আয় করেছে ৮৫৮ কোটি ডলার। স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য এখন বক্স অফিসে ৯০০ কোটি ডলার পার করা।

 

 

সেটা একেবারে অসম্ভবও নয়, কারণ ডিসেম্বরেও হলিউডে মুক্তি পাচ্ছে আটটি সিনেমা। কিন্তু সেখানে একটা সমস্যা তৈরি হয়। অল্প সময়ে বেশি সিনেমা মুক্তি পেলে অনেক সময় কোনোটিই ঠিকঠাক আয় করতে পারে না।

 

২০২৩ সালে হলিউডের বক্স অফিসের আয় করার কথা ছিল ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি। কিন্তু সে সম্ভাবনা পূরণ না হওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে দুটি ধর্মঘট। হলিউড এ বছর ধর্মঘটের কারণে অনেক পিছিয়ে গেছে।

 

হলিউড বক্স অফিসের আয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভ্যারাইটি। সেখান থেকেই জানা যায়, ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে হলিউড বক্স অফিসের মোট আয় ৮৫৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কমস্কোরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভ্যারাইটি।

 

 

অর্থাৎ ৯০০ কোটি ডলার আয় করতে এখনো প্রয়োজন ৪১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেটা পার করা যাবে কিনা এ নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ আছে। কিন্তু তার পরও একটি রেকর্ড হয়েই আছে। কভিড-১৯ অতিমারী পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বেশি আয় এরই মধ্যে করে ফেলেছে বক্স অফিস।

 

২০২১ সালে হলিউড বক্স অফিস আয় করেছিল ৪৫৬ কোটি ডলার। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪৬ কোটি ডলার। কিন্তু এতে খুশি হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। কেননা অতিমারীর আগে হলিউড বক্স অফিসের কাছে এ আয় ছিল নিয়মিত ব্যাপার।

 

 

অতিমারীর আগের দুই বছর বক্স অফিস আয় করেছিল যথাক্রমে ১ হাজার ও ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার। সিনেমার পরিমাণও কমে গেছে। ২০২৩ সালে হলিউড থেকে মুক্তি পেয়েছে ৮৮টি সিনেমা। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল ১০৮টি সিনেমা। টিকিট বিক্রি থেকে সে বছর আয় হয়েছিল ১ হাজার ৫০ কোটি ডলার।

 

আগামী ১২ দিনে বেশকিছু সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, যা নিয়ে হলিউড অপেক্ষা করছে বহুদিন ধরে। এর মধ্যে আছে ওয়ার্নার মিউজিক্যালের ‘দ্য কালার পার্পল’, ডিসির ‘অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম’, নিয়নের রেসিং ড্রামা ‘ফেরারি’, স্পোর্টস ড্রামা ‘দি আয়রন ক্ল’ ও জর্জ ক্লুনি পরিচালিত ‘দ্য বয়েজ অন দ্য বোট’। এর মধ্যে অ্যাকুয়াম্যান অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম থেকেই অধিক আয় করার সম্ভাবনা দেখছে বক্স অফিস।