সারাদেশ

একই আসনে নৌকা চান স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালক

একই আসনে নৌকা চান স্বামী-স্ত্রী ও শ্যালক

মাদক চোরাচালানের অন্যতম রুট এবং রোহিঙ্গা শিবিরের কারণে বহুল আলোচিত কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। ২০১৪ সালেও আ.লীগের নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিতর্কিত আব্দুর রহমান বদি। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে করেন নি। ২০১৮ সালে বদি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও স্ত্রী শাহীনা আক্তার মনোনয়ন পান এবং তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

কিন্তু ভোটারদের অভিযোগ, শাহীনা আক্তার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে এলাকায় সময় দেননি। কিন্তু এবারও নৌকা চান তিনি। কিন্তু এবার একই আসন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান বদির স্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীনা আক্তার ও তার শ্যালক উখিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

 

এছাড়া এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রাজা শাহ আলম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহদুর, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। সম্ভাব্য নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দাবি, বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে এবার নতুন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

 

তবে অনেকেই বলছেন, এবার এই আসনে আসতে পারে নতুন চমক। সবাইকে বাদ দিয়ে সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করলেও তার পক্ষে মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

 

২০০৮ সালে এই আসনটি ছাড়া জেলার তিন আসনেই হেরে যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এখানে আবদুর রহমান বদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নানাভাবে বিতর্কিত হন। এবার নৌকার মনোনয়ন তিনিই পাবেন দাবি করে বদি বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে আমার মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি দলে নেই। আমি এলাকার মানুষকে চাল–ডাল–তেলসহ নগদ অর্থসহায়তা দিয়ে আসছি এবং এলাকার উন্নয়ন করেছি। অনেকেই আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন।

 

স্ত্রী শাহীনা আক্তারের মনোনয়নপত্র নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে আমার স্ত্রী আবারও মনোনয়ন চেয়েছেন। বদির শ্যালক উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি সংসদ সদস্য হতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন।

 

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সঙ্গে আছি। এখন দলের মনোনয়ন চেয়েছি। মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হলে আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাব।

 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার আছে। কিন্তু দেখার বিষয় হচ্ছে দলীয় হাইকমান্ড কাকে মনোনয়ন দিচ্ছে। দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে আমরা সবাই তার পক্ষে কাজ করব।

 

আরও খবর

Sponsered content