সারাদেশ

লালপুরে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকের হাতে খুন হন বীথি : পুলিশ

লালপুরে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকের হাতে খুন হন বীথি : পুলিশ

নাটোরের লালপুরে প্রেমিক জাহিদ হাসান সাদ্দামের (২৯) হাতে মাহমুদা আক্তার বীথি (২৬) খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিককে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে তোফাকাটা মোড় এলাকার মজিবর রহমানের আম বাগান থেকে বীথির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

নাটোরের বড়াইগ্রামের আহাম্মেদপুরের কামারদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কামারদহ গ্রামের মো. সোহরাব হোসেনের ছেলে। মাহমুদা আক্তার বীথি উপজেলার বরমহাটি (নাখরাজপাড়া) গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে। তিনি গোপালপুরের মুক্তার জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি সহকারী ছিলেন।

 

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মো. জাহিদ হাসান সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছেন। তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের সঙ্গে ভিকটিম বীথির দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল।

 

একপর্যায়ে বীথি আসামি সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাদ্দাম কৌশলে বীথিকে ডেকে নেন। এরপর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যান।

 

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, মাহমুদা আক্তার বীথি ক্লিনিকের ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি মহল্লার তোফাকাটা মোড় এলাকার একটি আম বাগানে মৃতদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। দুই সন্তানের মা নিহত বীথির স্বামীর সঙ্গে দুই বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা করেন।

 

আরও খবর

Sponsered content