সারাদেশ

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে সহোদরকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাইয়ের ফাঁসি

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে সহোদরকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাইয়ের ফাঁসি

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে আপন ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন—নজরুল ইসলাম বিপ্লব (৫০)। তিনি জেলার কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর কোণাপাড়া গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে। অন্যদিকে নিহত দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ উদ জামান বিপ্লবের ছোট ভাই এবং নুরুজ্জামানের ছেলে।

 

আদালতের নথি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ উদ জামান ও নজরুল ইসলাম বিপ্লব সহোদর ভাই। বড় ভাই বিপ্লব তাঁর স্ত্রী জেসমিনের সঙ্গে ছোট ভাই মাসুদের অনৈতিক সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল জুমআর নামাজের পর মাসুদ খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন।

 

কিছুক্ষণ পর মাসুদের স্ত্রী নিপা বেগম তাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তাকওয়াকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে একই বিছানায় শুয়ে পড়েন। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বড় ভাই নজরুল ইসলাম বিপ্লব দা নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাই মাসুদকে কোপাতে শুরু করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নিপা বেগম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কটিয়াদী থানার তৎকালীন পরিদর্শক মো. নুর ইসলাম। আদালত মামলার ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।

 

রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. হুমায়ুন কবির ও বিবাদী পক্ষে লুৎফর রশিদ রানা মামলাটি পরিচালনা করেন।