জাতীয়

ছাত্রীকে বিয়ে করে ‘সব হারালেন’ মুশতাক

ছাত্রীকে বিয়ে করে ‘সব হারালেন’ মুশতাক

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না ছাত্রীকে বিয়ে করা আলোচিত দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ।

রোববার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম স্বাক্ষরিত একপাতার লিখিত আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই আদেশে বলা হয়েছে— স্কুলের সীমানায় ঢুকতে পারবেন না খন্দকার মুশতাক আহমেদ।

অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, খন্দকার মুশতাককে সব রকম গভর্নিং বডির মিটিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢুকতে পারবেন না স্কুল ক্যাম্পাসে।

গত ২১ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ধর্ষণ মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে স্কুলের ত্রিসীমানায় যেতে নিষেধ করে আদেশ দেন।

অন্য শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে কারণে এ আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে গভর্নিং বডির কোনো কাজেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

এর আগে রোববার খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের শিক্ষার্থী সিনথিয়াকে তার বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টে রিট করেন মেয়েটির বাবা।

এদিকে খন্দকার মুশতাক গভর্নিং বডির সদস্য থাকাকালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এ বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, খন্দকার মুশতাক রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন। এভাবে কোনো ছাত্রী ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপদ নয়। এমনকি হাইকোর্ট বলেন, এটা বিকৃত রুচির বিয়ে।

প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়।

এ মামলায় আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আরও খবর

Sponsered content