সারাদেশ

চতুর্থবারেও কন্যা সন্তান, নবজাতককে হাসপাতালে রেখে গেলেন মা

চতুর্থবারেও কন্যা সন্তান, নবজাতককে হাসপাতালে রেখে গেলেন মা

তিন কন্যা সন্তানের পর চতুর্থবারও কন্যা শিশু জন্ম নেওয়ায় নবজাতককে হাসপাতালে রেখে যান মা ও স্বজনরা। বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বর্তমানে ওই শিশুটিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানেই রাখা হয়েছে।

 

তবে ওই কন্যা শিশুটির পরিবারের পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরিবারটির সঠিক পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে অনেকেই ওই কন্যা শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার পর জরুরি বিভাগে এক প্রসূতিকে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী পাপিয়া খাতুন নামে ওই প্রসূতিকে ভর্তি করেন।

 

সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কক্ষেই একটি কন্যা শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। গাইনি ওয়ার্ডে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে নবজাতককে রেখে চলে যান মা ও স্বজনরা।

 

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী। পরে নবজাতকটি সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই নবজাতকের নামকরণ করেন ‘পুষ্প’। বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

বিলকিস বানু বলেন, ‘ওই প্রসূতির তিন মেয়ে আছে, চতুর্থ সন্তানও মেয়ে হওয়ায় নবজাতককে আমার কাছে রেখে তারা চলে যায়। নবজাতককে আমি দত্তক নিতে চাই।

 

চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, জরুরি বিভাগে ওই প্রসূতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি কন্যা শিশু জন্ম দেন। এক রোগীর স্বজনের কাছে জানতে পেরেছি, ওই দম্পতির তিন কন্যা রয়েছে। আবারও কন্যা সন্তান হলে স্বামী তালাক দেবে বলে জানিয়ে কন্যা শিশুটিকে ওই নারীর কাছে রেখে চলে যান মা ও স্বজনরা । আপাতত হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে নবজাতকটি।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা—তুজ জোহরা বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। সেখানেই আপাতত তার পরিচর্যা হচ্ছে। মা ও পরিবারের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও শিশুটির সর্বোত্তম কল্যাণের জন্য আইন এবং বিধি-বিধান মেনে যতটুকু করা সম্ভব আমরা তা করব।

 

আরও খবর

Sponsered content