সারাদেশ

এমটিএফই’র ৬ সিইওসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এমটিএফই’র ৬ সিইওসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেটাভার্স ফরেন একচেঞ্জ গ্রুপের (এমটিএফই) নামধারী ৬ সিইওসহ অজ্ঞাত আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।

 

ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. নুরুল ইসলাম কাকন। মামলার বাদী হলেন নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড রোডের বাসিন্দা মো. হামিদ গাজীর ছেলে মো. ইউসুফ আলী।

 

আসামিরা হলেন- নগরীর বান্দ রোড নুরজাহান মঞ্জিলের বাসিন্দা মিজানুর রহমান (৪৮), তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৩৮), নগরীর সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা সালাম সরদারের ছেলে নোমান আহম্মেদ সরদার (৩০), নগরীর বিএম কলেজ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন সরদারের ছেলে মিলন হোসেন বাদশা (৪৮), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪০) ও তার ছেলে অলিউল ইসলাম (৩০)।

 

বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছদ্মবেশধারণ করে ইলেকট্রনিক্স প্রতারণার মাধ্যমে অর্থের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বরাতে কাকন আরও বলেন, আসামিরা মাফিয়াসহ জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য। এমএলএম এর আদলে ই-লেনদেনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়। মামলার বাদীসহ ১০ সাক্ষীর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের বরিশাল নগরীর বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে নিয়ে ই-লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা করে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় লাভ করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেয়।

 

আসামিদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের প্রমোকোডের মাধ্যমে বাদীসহ ১০ জন সাক্ষীর নামে একাউন্ট খোলে। আসামিরা নিজেদের অর্থায়নে কিছু ডলার জমা করতে প্রলুব্ধ করে।

 

প্রলোভনের ফাঁদে সাড়া দিলে বাদীসহ ১১ জন গত ১ মে থেকে ১ অগাস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকা জমা করে। গত ১২ অগাস্ট বাদীসহ ১১ জন আসামিদের কাছে গিয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য নগরীর সিএন্ডবি রোড ফারজানা কমিউনিটি সেন্টারে নোমান আহম্মেদের সেবা অনলাইনের অফিসে যায়।

 

সেখানে যাওয়ার পর নামধারী ৬ আসামিরা জানিয়েছে সফটওয়ার আপডেটের কারণে ডলার উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে লভ্যাংশসহ উত্তোলন করা যাবে। গত ১৮ আগস্ট রাতের মধ্যে বাদীসহ ১১ জনের সকল তথ্যে ইলেকট্রনিক্স মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলে।

 

পরদিন ১৯ অগাস্ট সেবা অনলাইনের অফিসে গেলে আসামিরা জানিয়েছেন সকল টাকা উত্তোলন করে নোমান এমটিএফই’র প্রধান সিইও মাসুদের কাছে দুবাই চলে গেছে। সে ফিরে এলে টাকা ফেরত দেয়া হবে। গত ২০ অগাস্ট নোমানকে পেয়ে টাকা ফের চাইলে জানায় টাকা বিদেশিরা নিয়ে গেছে। পরে আসামিরা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে।

 

মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেছেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নগদ টাকা নিয়ে ডলারে রূপান্তর দেখি‌য়ে আত্মসাৎ করেছে।

আরও খবর

Sponsered content