আইন ও অপরাধ

বান্ধবী লায়লার ধর্ষণ মামলায় মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১০ জুন রাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসে পুলিশ।

 

দেশের একটি গণমাধ্যমে দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, টিকটকার মামুনের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।

 

পরবর্তীতে মামুন কুমিল্লায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ আমাদেরকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য একটি রিকুইজিশন প্রেরণ করে।

 

তিনি আরও বলেন, এরপরই দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার একটি টিম আসলে রাত সোয়া ১২টার দিকে তাদের কাছে মামুনকে হস্তান্তর করা হয়।

 

গত ৯ জুন রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন টিকটকার লায়লা। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়।

 

পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই।

 

যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

 

২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে।

 

আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকে।

 

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করে আমাকে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

 

আরও খবর

Sponsered content