জাতীয়

শেখ হাসিনার মন্তব্য এবং ড. ইউনূসের প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকারের মামলার প্রসঙ্গ এবং সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্য।

 

মঙ্গলবার (৪ জুন) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এই দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের মত জানতে চান ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে।

 

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, গত রোববার শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের একটি কোর্টরুমে লোহার খাঁচার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় এবং এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আজ আমি অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছি।’ এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গণতন্ত্রপ্রিয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে আপনাদের পদক্ষেপ কী?

 

এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মামলাকে ঘিরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমার দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এই কারণে- ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে।

 

তিনি বলেন, আমরা এ বিষয় নিয়েও উদ্বিগ্ন, শ্রম ও দুর্নীতি দমন আইনের কল্পনাপ্রসূত অপব্যবহার বাংলাদেশের আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

বিচার প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বারবার আহ্বান জানিয়েছি ড. ইউনূসের মামলার বিচারে যেন ন্যায় ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়।

 

মিলার আরও বলেন, আপিল প্রক্রিয়া চলতে থাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করতে থাকব। নতুন কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে আগাম কিছু বলতে পারছি না।

 

এ সময় শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য তুলে ধরে মিলারের কাছে সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি কোনো চাপ ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন যদি তিনি একটি বিদেশি রাষ্ট্রকে এখানে বিমানঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেন।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুরে পরিণত করার এবং বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি তৈরি করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা কি এসব অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ছুঁড়েছেন?

 

এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই, এই মন্তব্যগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। কিন্তু, যদি এসব প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বলা হয় তাহলে আমি বলব, মন্তব্যগুলো সঠিক নয়।

 

আরও খবর

Sponsered content