বিনোদন

কেন সৌদিতে তরুণীদের প্রেরণা মারিয়া

সৌদিতে নব্বইয়ের দশকে শিল্প ও চিত্রকর্ম নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘদিন এভাবেই চলেছে। তবে ২০১৮ সালের দিকে অর্থনীতিকে চাঙা করতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর থেকেই উন্নতির পথে এগিয়ে চলছে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা। এবার আরো এক ইতিহাস গড়েছে সৌদি আরবের সিনেমা।

 

প্রথমবারের মতো দেশটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাকর কান চলচ্চিত্র উৎসবে। আসন্ন ৭৭তম আসরের স্বর্ণপাম বিভাগে অফিসিয়াল মনোনয়ন পেয়েছে তৌসিফ আলজায়েদি পরিচালিত সিনেমা ‘নোরা’।

 

‘নোরা’ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ১৮ বছরের তরুণী মারিয়া বাহরাভি।এরপরেই দেশটির তরুণীদের কাছে এক প্রেরণার নাম হয়ে ওঠে মারিয়া।

 

মারিয়া বাহরাভির বেড়ে ওঠা জেদ্দায়। বিভিন্ন দেশের সিনেমা ও সিরিজের ভক্ত এই নায়িকার একসময় ইচ্ছা জাগে, অভিনয় করবেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন।

 

দুই বছর আগে মে মাসে হঠাৎ তিনি অডিশন দিতে যান। খুলে যায় তার ভাগ্য।কিন্তু তাকেই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, শুনে সংশয়ে পড়ে যান।

 

এ প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন,শুরু থেকে সবকিছু তার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে। আমি আমার স্বপ্নের চেয়েও অনেক বড় জায়গায় পৌঁছেছি।এখন আমার কাছে অনেক বড় সুযোগ রয়েছে।সেদিকেই আমি নিজেকে নিয়ে যেতে চাই।

 

পরিচালক তৌফিক আল জায়িদি ও মারিয়া অভিনীত ‘নোরা’ সিনেমায় এটি নাদির নামের এক চিত্রকরের গল্প অবলম্বনে সময়টা নব্বইয়ের দশকের এই সময়ে সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় নাদিরকে ছবি আঁকা ছেড়ে দিতে হয়।তিনি হন একজন স্কুলশিক্ষক।

 

সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় নোরা নামের একটি এতিম মেয়ের।যিনি কিনা অশিক্ষিত। যার স্বপ্নের পথে এগোনোর কোনো পথ নেই।যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদী এক নোরাকে দেখা যাবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে।