সারাদেশ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক বখাটে যুবকের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে ওই যুবক। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। পরে আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে নিয়ামতপুর থানায় মামলা হয়। তবে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

 

গত ২৩ মার্চ উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের ছাতড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম তানভীর (২০)। তিনি একই এলাকার কফিল উদ্দিন দ্বারাজের ছেলে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা চাকরির কারণে ঢাকায় বসবাস করেন। ছাতড়া এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী।

 

স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিত বখাটে যুবক তানভীর। তার দেওয়া কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় তানভীর। বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে একাধিকবার ধর্ষণ এবং এক সহযোগীর সহায়তায় তা ভিডিও ধারণ করে।

 

স্কুলছাত্রীর নানা নামাজ শেষ করে নাতনিকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে করতে ওই নির্জন বাড়ির পাশে গেলে নাতনির চিৎকার শুনতে পান। সেখানে ওই ছাত্রীর নানা উপস্থিত হলে সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে গেলেও তানভীরকে আটক করে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ।

 

এরপর স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসা করা হবে বলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়; কিন্তু তানভীরের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় সমাধান না করে উল্টো তাদের হুমকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগী ওই পরিবার থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা না নিলে আদালতের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার।

 

মামলার বাদী ভুক্তভোগীর স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ধর্ষণের পর থেকেই আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে তানভীরের পরিবার। মামলা হওয়ার পরও আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তানভীরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

আরও খবর

Sponsered content