সারাদেশ

ভালো কাজ দেয়ার আশ্বাসে ২ মাস ধর্ষণ, সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার

সিলেটে ভালো কাজ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় আবদুস সালাম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে এক জরুরি সভায় ওই নেতাকে বহিষ্কার করে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ সময় ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। আবদুস সালাম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।

তিনি জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে বহিষ্কার ও একইসঙ্গে ওই ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার ইশাদ মিয়ার ছেলে আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রাতে কোতোয়ালী থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।

ওসি জানান, নগরীতে ‘ভালো কাজ’ দেয়ার কথা বলে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম আবদুস সালামের হাতে ওই তরুণীকে তুলে দেন।

এরপর আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে ওই তরুণীকে ২২ দিন ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েকদিন পর ফের আবদুস সালাম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখেন।

সেখানে আবদুস সালাম, আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে পালিয়ে যান ওই তরুণী।

এ ঘটনায় ২৯ মার্চ কোতোয়ালী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওই তরুণীর মা।

আরও খবর

Sponsered content