সারাদেশ

নানি পড়ছিলেন তারাবি, গামছা দিয়ে মুখ চেপে নাতনিকে নিয়ে গেল বাঁশঝাড়ে

নানি পড়ছিলেন তারাবি, গামছা দিয়ে মুখ চেপে নাতনিকে নিয়ে গেল বাঁশঝাড়ে

বাসায় তারাবির নামাজ পড়ছিলেন নানি। নানির নামাজরত অবস্থায় ঘরের বাহিরে থাকা টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে বের হন নাতনি। এ সময় টিউবওয়েলের পাশে ওত পেতে থাকা প্রতিবেশি মো. জহিরুল ইসলাম মনির (২০) নাতনির মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে নিয়ে যায় বাড়ির পূর্ব পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে। নানি জায়েদা খাতুনের ভাষ্য, ‘বাঁশঝাড়ে নিয়ে যাওয়ার একপর্যায়ে জহিরুল ইসলাম তার নাতনিকে ধর্ষণ করে। নাতনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি নানিকে জানায়।

 

এ ঘটনায় জায়েদা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল রবিবার (২৪ মার্চ) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মো. জহিরুল ইসলাম মনিরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ২৩ মার্চ শনিবার রাত ৯টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হাঁসের আলগী গ্রামের জামাল উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমার বৃদ্ধ অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বসবাস করি। দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক নাতনিকে নিয়ে থাকি।

প্রতিবেশি জহিরুল ইসলাম মনির আমার নাতনিকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়তই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসত।

আমার নাতনি তার প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায়শই রাস্তা-ঘাটে ওত পেতে বসে থেকে নাতনিকে কুপ্রস্তাব দিত।

আমার নাতনি কুপ্রস্থাবের বিষয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা মনিরের অভিভাবককে এ সম্পর্কে অবগত করেও কোনো ফলাফল পাইনি। গত শনিবার রাতে মনির আমার নাতনিকে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমিও শুনেছি। আমি চাই সত্যটা বেরিয়ে আসুক।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মেয়ের জবানবন্দি নিয়ে মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content