জাতীয়

অবশেষে ড. ইউনূসের ৫৪ কোটি টাকা জমা

অবশেষে ড. ইউনূসের ৫৪ কোটি টাকা জমা

আয়কর আপিল দায়েরের জন্য ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রুপালী ব্যাংক পল্লবী শাখায় হাইকোর্টের নির্দেশে এই অর্থ জমা দেন তিনি।গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫৪ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

 

এর আগে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই বছরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর কাছে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট অর্থ নেই বলে মওকুফ চান।

 

ওই আবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিজেক্ট করার পরে তারা আয় করের টাকা মওকুফ চেয়েছিলেন। কিন্তু তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্টে-ই প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি থেকে প্রায় চারশ কোটি টাকার মতো ছিল। কিন্তু অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই অর্থ চেয়ে নোটিশ করার পরে কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

 

রিটের শুনানি নিয়ে নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এনিয়ে রুলও জারি করেন আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আসে। আজ সেটির শুনানি শেষে গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন নিয়ম অনুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এর পর এনবিআরের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে।

 

এদিকে, দেশের বাইরে যেতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার দেশের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে অবহিত করতে বলায় তিনি এ আবেদন করেন। রোববার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এই আবেদন করেন তিনি। আবেদনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যেতে চান বলে উল্লেখ করেন।

 

এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পৃথক দুটি মামলায় জামিন পান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

 

কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার ৩ সহকর্মীকে। শ্রম আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূস। আপিল করায় দেওয়া হয় এক মাসের জামিন।

 

জামিনের সময় শেষ হওয়ায় আবারও ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ড. ইউনূসসহ অন্যান্যরা। তাদের পক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী জামিন চান আইনজীবী। তবে আপত্তি তোলা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। পরে উভয় পক্ষের যুক্তি তর্ক আমলে নিয়ে আদালত দিন-তারিখ উল্লেখ না করে জামিন মঞ্জুর করে।

 

এদিন দুদকের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায়ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও জামিন পান তিনি।

 

আরও খবর

Sponsered content