সারাদেশ

এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করল পরীক্ষার্থীরা

এসএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করল পরীক্ষার্থীরা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার শেষ দিনে কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে উল্লাস করেছে একদল ছাত্র। তারা সবাই ওই কেন্দ্রেরই পরীক্ষার্থী। রোববারের (১০ মার্চ) বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষে দুপুর একটার পর এ তাণ্ডব চালায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে।

 

হামলাকারীরা মেয়েদের স্কুলটির ফ্যান, শৌচাগারের দরজা, কমোড ও বৈদ্যুতিক লাইটসহ অন্যান্য শ্রেণি-সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। এতে স্কুলের লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পাওয়া যাচ্ছে।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় ২০৩ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ১৫ জন এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষের চারটি বৈদ্যুতিক পাখা, তিনটি টিউবলাইট এবং কক্ষ সংলগ্ন প্রসাধন রুমে ছয়টি শৌচাগারের দরজা, ফ্লাশ প্যান, কমোড ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

অপরদিকে ২০৫ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন এবং পৌর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষের দুটি বৈদ্যুতিক পাখা এবং দুটি টিউবলাইট ভাঙচুর করে তারা।

 

কেন্দ্র সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এএসএম মাসুম বিল্লাহ। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই বলব না। যা বলার প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব বলবেন।

 

কেন্দ্র সচিব এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আসছি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাসুম বিল্লাহ। ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। বিদ্যালয়ের কর্মচারী (আয়া) মাকসুদা বেগম বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীরা হৈ হুল্লোড় করে নেমে যায়। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি সব ভাঙাচোরা। তখন স্যাররাও দায়িত্ব পালন শেষ করে চলে গেছেন।

 

ঝালকাঠির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে ওই স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে সাড়ে ৫০০ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। সবাই আমার স্কুলের ছাত্র নয়।

 

কিছু মেয়ে পরীক্ষার্থীও পরীক্ষা দিয়েছিল। আর এই বিষয়টি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় বা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আমাকে জানায়নি। তারপরও ঘটনার তদন্তে যদি আমার স্কুলের ছাত্ররা দোষী প্রমাণিত হয় তবে আমি অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ঝালকাঠি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, গুরুত্বসহকারে দেখছি।

 

আরও খবর

Sponsered content