10 March 2024 , 11:33:15 প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সূর্যমুখী চাষ করে মহাবিপাকে সহোদর দুই ভাই। প্রতিদিনই দর্শনার্থী ও টিকটকারদের পদচারণায় উৎসবমুখর এই বাগান। ফুলের সাথে মিতালি করায় ক্ষতি হচ্ছে বাগানের। এতে অতিষ্ঠ বাগানমালিক। করেছেন ২০ টাকা টিকেটের ব্যবস্থা। ফুল ছিড়লে বা বাগান নষ্ট করলেই নেয়া হচ্ছে ক্ষতিপূরণ। এরপরও থেমে নেই স্থানীয় ও বাইরে থেকে আসা উৎসুক ফুলপ্রেমীরা।
ত্রিশালের সতেরোপাড়া গ্রামে বিস্তৃত হলুদাভ ফসলের মাঠ যেন হাসছে সূর্যমুখীতে। আর এই দৃশ্য যে কারোরই নজর কাড়বে।
নিজ বাড়ির সামনে সখের বসে করা এই সূর্যমুখী বাগান এখন আশপাশের মানুষের বিনোদন কেন্দ্র।
অবসর সময় কাজে লাগাতে ওই গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে রাজিব হাসান ও রেজাউল করিম বাড়ির সামনে ২০ শতাংশ জমিতে সখের বশে চাষ করেন সূর্যমুখী।
সূর্যমুখীর হাসিতে নিজেদের রাঙাতে এসে দর্শনার্থীরা বিপাকে ফেলছেন বাগানমালিককে। দলে দলে মানুষ আসছে ফুলের সাথে ছবি তুলতে।
কেউ করছেন মডেলিং-ফটোসেশন, কেউ আবার বানাচ্ছেন টিকটক- রিল ভিডিও। এসব করতে গিয়ে অনেকে ভেঙে ফেলছেন সূর্যমুখীর কোমল গাছ, ছিড়ছেন ফুল।
অবস্থা বেগতিক দেখে বাগানের চারিধারে বেড়া দিয়েছেন বাগান মালিক। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করেছেন ২০ টাকা টিকেটের ব্যবস্থা।
আর ফুল ছিড়লেই নেয়া হচ্ছে জরিমানা। কিন্তু এসব বিধিনিষেধ থাকলেও ফেসবুক ও টিকটকাররা বসে নেই। দিনদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়।
সূর্যমুখী চাষে তাদের খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। আশা ছিলো ফসল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবে চাষী।
তবে টিকিট চালু করায় লাভ গুনতে ফসল বিক্রি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।