2 March 2024 , 11:26:39 প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ভবনে আগুনে নিহত ৪৬ জনের মধ্য থেকে ৪০টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ছয়জনের লাশ হস্তান্তরের অপেক্ষায় এখনও মর্গে রয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা যায়নি। বাকি তিনজনের স্বজনেরা এখনও আসেননি।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ছয় পরিবারের ১৫ জন রয়েছেন। আহত অন্তত ২২ জন। তাদের বেশির ভাগই শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর থেকে নিহতদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
আগুনের ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে রমনা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ডসহ আরও কিছু আইনের ধারার উল্লেখ রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনসার।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে। এর আগে, ভবনের নিচের চা-কফির দোকান ‘চুমুক’ এর দুই মালিক ও ‘কাচ্চি ভাই’র ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আরও কয়েকজনকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনের নিচের অংশে আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।