ধর্ম

খরগোশের মাংস হালাল নাকি হারাম, জেনেনিন!

খরগোশের মাংস হালাল নাকি হারাম, জেনেনিন!

খরগোশের মাংস কি হালাল, নাকি হারাম? এই প্রশ্ন এখন অনেকের। কারণ ইদানীং কিছু কিছু রেস্তোরাঁয় খরগোশের মাংসের বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। কেউ কেউ এই প্রাণীটির মাংসের কাবাব খেতেই বেশি পছন্দ করেন।

 

 

ইসলামী শরিয়তে খরগোশের মাংসও হালাল। সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন-

مَرَرْنَا فَاسْتَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهِ فَلَغَبُوا ‏.‏ قَالَ فَسَعَيْتُ حَتَّى أَدْرَكْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا فَبَعَثَ بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبِلَهُ

 

মক্কার মাররুজ জাহরান এলাকায় একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। আমার সাথে আরও অনেকেই সেটির পেছনে ছুটছিল। একপর্যায়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ল। আমি হাল না ছেড়ে ছুটতে থাকলাম এবং শেষ পর্যন্ত খরগোশটিকে ধরে ফেললাম। খরগোশটিকে আবু তালহার কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেটিকে জবাই করেন এবং এর পেছনের অংশ ও উভয় রান রসুলের (সা.) এর কাছে পাঠান। আমি সেগুলো রসুলের (সা.) কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন (সহিহ বোখারি, সহিহ মুসলিম)।

 

তবে এতে আলেমদের দ্বিমত আছে। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, খরগোশে নখ আছে। তাই এর হিংস্রতার কারণে এটি খাওয়া জায়েজ নেই বা মাখরুহ। কিন্তু খরগোশের অনেক জাত আছে, যে খরগোশগুলো পালন করা হয়, সেগুলো একেবারেই নিরীহ হিংস্র নয়, তাদের নখ বলতে কিছুই নেই, এগুলো খাওয়া জায়েজ, হারাম নয়।

 

ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদসহ (রহ.) অধিকাংশ ফকিহর মতে খরগোশ খাওয়া হালাল।

 

আরও খবর

Sponsered content