23 January 2024 , 11:23:04 প্রিন্ট সংস্করণ
একটি গোষ্ঠীর ধর্মকে ব্যবহার করে অরাজকতা সৃষ্টির প্রবণতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখেছি। ঠিক কি ঘটেছিল সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করব।
শরীফা গল্পটি নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে নওফেল বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মীরা আছেন তাদের সাথে আলোচনা করব। যদি একটি গল্পের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর নানান বিষয়ে ধর্মকে ব্যবহার করে হোক বা ধর্মীয় অনুভূতি হোক নানান সময়ে অরাজকতা করা বা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার প্রবণতা আছে।
গত বছরও এই বিতর্ক ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন। তারা দাবি করেছেন, এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গ অর্থাৎ যারা সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত এটি আইনত স্বীকৃত। তারা দেশের নাগরিক, তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থেকে থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপনা পরিবর্তন করা যায় কিনা এই বিষয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করব।
তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। উপস্থাপনে যদি কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে যদি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।