সারাদেশ

তীব্র শীতের সঙ্গে কয়েকটি জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

তীব্র শীতের সঙ্গে কয়েকটি জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

অসময়ে আকাশ ভেঙে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে বৃষ্টি নেমেছে। কনকনে শীতের সঙ্গে বৃষ্টিতে জেলার জনজীবন অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছে। নানা কাজে বাইরে যারা বের হয়েছেন, তারা শীতল বৃষ্টির ফোঁটায় কাবু হয়ে পড়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। একই সঙ্গে সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা ও মেঘে আকাশ ঢেকে থাকায় এখনও সূর্যের দেখা মেলেনি।

 

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে আধাঘণ্টা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় শূন্য দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। মেঘে আকাশ ঢেকে রয়েছে। মেঘ কেটে গেলে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে। সারাদেশে চলা সপ্তাহব্যাপী তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়েও কিন্তু উদ্বিগ্ন কৃষকরা। এরই মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার সময় থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর এলাকায়ও দেখা দেয় একই অবস্থা। কিছু সময় মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এরপর আবারও কমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়া অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে ভোর থেকে বৃষ্টি থাকায় রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। দু-একজন জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন।

 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রা কম এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।

 

চুয়াডাঙ্গার উপসহকারী কৃষি অফিসার হাকিমুর রহমান বলেন, বৃষ্টিতে বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে। কোথাও পানি জমে থাকলে তা বের করে দিতে হবে। আলু ও সবজির ফুল-ফল নষ্ট হতে পারে। টমেটো ও আলুর ক্ষেতে রোগবালাই দেখা দিতে পারে। এসব ব্যাপারে কৃষকেরা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিতে পারেন।

 

আরও খবর

Sponsered content