9 January 2024 , 11:56:47 প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে গার্মেন্টস কর্মী রিজিয়া বেগমকে বিবাহ করেন জসিম উদ্দিন। গত ৭ মে ২০১৮ইং লামা পৌরসভার নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার এর মাধ্যমে করেন বিবাহ রেজিষ্ট্রি। দীর্ঘ ৬ বছর দুইজনে চট্টগ্রাম ভাড়া বাসায় দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন।
এরমধ্যে ২০১৯ সালে রিজিয়ার গর্ভে সন্তান আসলে গত ৪ অক্টোবর ২০১৯ইং মোঃ জসিম উদ্দিন জোর করে চট্টগ্রাম হেলথ্ পয়েন্ট হাসপাতালে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটায়। কর্মসংস্থানের কথা বলে জসিম উদ্দিন গাড়ী ক্রয়ের জন্য নেন ৮০ হাজার টাকা। কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনঃরায় যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
গত ২২ মাস ধরে কোন ধরনের খোরপোষ না দিয়ে যৌতুকের দাবীতে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দিচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদের চাপ। এইরকম অমানবিক নির্যাতনের কথা গুলো সাংবাদিকদের বলছিলেন অসহায় রিজিয়া বেগম। সে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া গ্রামের জাফর আলম ও সাকেরা বেগমের মেয়ে।
রিজিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী জসিম উদ্দিন দীর্ঘ ৬ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পর বিবাহ অস্বীকার করে। বর্তমানে প্রতারণা এবং বিভিন্ন হয়রানী করছে। সে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনা গ্রামের আবু ছৈয়দ ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে।
আমি আমার স্বামী জসিম উদ্দিন এর কাছে নিগৃহীত, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে লাঞ্চনার স্বীকার হয়ে বিজ্ঞ পারিবারিক (সিনিয়র সহকারী) জজ আদালত, চকরিয়ায় পারিবারিক মামলা নং- ১৪৪/২০২৩ইং দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
এদিকে জসিম উদ্দিন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিবাহকে অস্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় একটি কাউন্টার মামলা হিসেবে সি.আর-২৯৪০/২০২৩ দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি, কক্সবাজার এ তদন্তাধীন রয়েছে। আমি একজন মুসলিম নারী হিসেবে ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জসিম উদ্দিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। জসিম উদ্দিন আমার গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত ঘটায়।
গর্ভপাত ঘটানোর যাবতীয় প্রমাণাদি আমার কাছে রক্ষিত আছে। সে বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটনা করছে। আমি প্রশাসন ও আইনের নিকট তার প্রতারণার বিচারের ভার দিলাম। রিজিয়া বেগমের অভিযোগ যাচাইয়ে মোঃ জসিম উদ্দিনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।