সারাদেশ

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৩

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৩

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ছাত্রলীগ সভাপতির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় তিন থেকেটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার গাবুরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। মঙ্গলার (৯ জানুয়ারি) সকালেও পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকাসহ সর্বত্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছে।

 

ওসি কালাম আরও জানান, উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম ও গাবুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এসএম আতাউল হক দোলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। ৮ জানুয়ারি সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি এসএম মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে উপস্থিত হলে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা মিজানকে উদ্দেশ্য করে ‘ভোট দিস নাই, এখন আসছিস কেন’ এসব বলে গালিগালাজ করতে থাকে।

 

মিজান প্রতিবাদ করতে গেলে রহিম মাস্টারের সমর্থকেরা তার ওপর হামলা করে বলে জানান মিজান। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি মিজানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

 

হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় মিজানের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ড্রাইভার আমিনুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করে বলে জানা যায়।এদিকে মিজানকে মারধরের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে তার গ্রামে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও কয়েকজনকে আহত করে।

 

আহতরা হলেন- চাঁদনীমুখা গ্রামের মৃত জাফর গাজীর ছেলে আব্দুন নুর (৪৫) ও আলমগীর (৩৮), আব্দুন নুরের স্ত্রী পারভিন (৪০), শামসুদ্দিন গাজী (৭০), আলতাফ হোসেন (৩৫), ফজিলা (৪০), শরিফা (৩০), ওয়াজেদ (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

 

অপরদিকে মিজানের পক্ষে আহতরা হলেন- মহিদুল সরদার (৪৮), আবদুল্লাহ (৩০) ও মোস্তফা (৪৫)। তাদেরও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

খবর পেয়ে শ্যামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওসি কালাম আরও জানান, বর্তমানে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত, আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আছি। সংঘর্ষের ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content