সারাদেশ

বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের হাত করে নির্বাচন বন্ধ করতে চায় বললেন মেয়র লিটন

বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের হাত করে নির্বাচন বন্ধ করতে চায় বললেন মেয়র লিটন

বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের হাত করে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। রোববার(৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের আয়োজিত বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি দেশের মানুষকে বিশ্বাস করতে না পেরে, দেশের মানুষের ওপর আস্তা-ভরসা না রেখে বিএনপি-জামায়াত জোটচক্র বিদেশি শক্তি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রকে হাত করে তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার দেশে নারী-পুরুষকে হত্যা করেছিল। সেই সময় তারা পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল।

 

আজ তাদের বংশধররা আবারো নতুন করে সেই ৭১ সালের পরাশক্তিরা আহবান করছে। দেশের পরিবেশটা ঘোলাটা করে দিচ্ছেন যাতে শেখ হাসিনা ক্ষমাতায় থাকতে না পারে। ভারত, চীন, রাশিয়া, লন্ডন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে তাঁকিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে নির্বাচন হচ্ছে এতে সবার ঘুম হারাম হয়ে গেল কেন? নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশনে টকশোতে পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা হচ্ছে।

 

মেয়র লিটন বলেন, দেশে নির্বাচন এলেই যারা প্রশ্ন তুলেন সংসদ নির্বাচনে যাবো না, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তারপর নির্বাচনে যাবো তা না হলে যাবো না। ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া যে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষাণা করেছিলেন তা প্রত্যাহার করেননি আজও চলছে।

 

এখন মানুষ আর ধোকাবাজির রাজনীতি করে না। একদিন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এদেশে পাগল আর শিশু ছাড়া নিরোপক্ষ বলে কিছু নেই। আজ ফখরুল আর তারেক লন্ডনে বসে চায় কেন। পাগল আর শিশুরা তো দেশ চালাতে পাররে না।

 

লিটন বলেন, বিএনপি এক কোটি ২২লাখ ভূয়া ভোটার তৈরি করেছিল। তারা ভোটের বাক্সের তল দিয়ে ভোট ভরে রেখে জয়যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার এ ভোটার বাতিল করে নতুন ভোট তৈরি করে দিয়েছেন। যখন থেকে এ ভূয়া ভোটার বাতিল হয়ে গেছে।

 

তখন থেকে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়া উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন জানে নির্বাচনে তাদের পাল্লা ভারি নয়, আওয়ামী লীগের পাল্লা ভারি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন। সে উন্নয়ন টেলিভিশন, পত্রিকা খুললে দেখা যায়। গাড়ি দিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরলে উন্নয়ন দেখা যায়।

 

মেয়র লিটন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন আমার গ্রাম, আমার শহর। সেই গ্রামকে শহরে রুপ দিয়েছেন তিনি। গ্রাম এখন শহর হয়েছে। শহরের সুবিধা এখন গ্রামের মানুষ পাচ্ছে। চলনবিল এক সময় যে অবহেলিত ছিল। আজ সে চলনবিল উন্নয়নে ভরে গেছে।

 

গ্রামের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে দোকানে আমাদের ভাইয়েরা বসে বসে চা খান আর টেলিভিশন দেখেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছোটবেলা থেকে নৌকার স্লোগান দিয়ে বড় হয়েছে। যে রাজনীতি বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন, সে রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন, সে রাজনীতি আমরা করি। আমরা বংশক্রমে একের পর এক এগিয়ে চলছি।

 

নির্বাচনী জনসভায় সভায় সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নাটোর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌসসহ নেতৃবৃন্দ।

 

আরও খবর

Sponsered content