30 May 2024 , 12:16:28 প্রিন্ট সংস্করণ
নামাজ এমন এক ইবাদত যা অন্যান্য বিধানের মতো নাজিল হয়নি বরং আল্লাহ তাআলা তার হাবিব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার কাছে নিয়ে গিয়ে দিয়েছেন। এ নামাজ প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আবশ্যক। নামাজ ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির একটি। তাই তা ছেড়ে দিলে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বেনামাজিদের ব্যাপারে বলেছেন, ‘নবী ও হেদায়েতপ্রাপ্তদের পর এলো এমন এক অপদার্থ বংশধর, যারা নামাজ বিনষ্ট করল এবং প্রবৃত্তির পূজারি হলো। সুতরাং তারা ‘গাই’ নামক জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।’ (সুরা মারইয়াম ৫৯)
হযরত মুআজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তাআলার কোনো জিম্মাদারি থাকল না।’ (মুসনাদ আহমাদ ৫/২৩৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে গেল তার পরিবারবর্গ ও ধন-সম্পদের যেন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।’ (বুখারি ৫৫২)
কোরআনুল কারিমের এক আয়াতে এসেছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে?’ তারা বলবে, ‘আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির ৩৮-৪৭)