জাতীয়

যেকোনো মূল্যে নাবিকদের দেশে ফেরত আনা হবে বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী

যেকোনো মূল্যে নাবিকদের দেশে ফেরত আনা হবে বললেন নৌ প্রতিমন্ত্রী

যেকোনো মূল্যে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‌‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে। তবে ২৩ জন নাবিক সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। তাদের দ্রুত সুস্থতার সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলোচনা চলছে। গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ২৩ জন নাগরিকের জীবন ও নিরাপত্তার বিষয়টি।

 

কুটনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সরকার জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজের উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, জলদস্যুরা সোমালিয়ার। তবে তাদেরকে এখনও আইডেনটিফাই করা যায়নি।

 

তিনি আরও বলেন, নাবিকদের পরিবার বা স্বজনরা কি কষ্টে আছে, তা অনুভব করা যায়। যারা জাহাজ অপহরণ করেছে, তারা তো মানুষ না, দস্যু। তাই কবে তাদের উদ্ধার করা যাবে, এখনই বলা যাবে না।

 

আন্তর্জাতিক সমুদ্র চলাচল সংস্থার (আইএমও) সদস্য হওয়ায় ভারতসহ অন্য দেশের সহযোগিতা নেয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

এর আগে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

 

জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।

 

জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।

 

আরও খবর

Sponsered content