সারাদেশ

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, প্রেমিক অস্বীকার করায় আত্মহত্যা

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, প্রেমিক অস্বীকার করায় আত্মহত্যা

মানিকগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গড়ে উঠে শারীরিক সম্পর্ক। এক পযার্য়ে গর্ভবর্তী হয়ে পরে ওই ছাত্রী কিন্তু প্রেমিক বিষয়টি অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করেছে আফরোজা (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী।

 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দর (টেনারিমোড়) এলাকায় সোমবার বিকাল ৫টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। রাত ৯টার দিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ। নিহতের বড় বোন সুরমা আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আফরোজা গড়পাড়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গড়পাড়া গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে।

 

ঘটনার বিবরণে, নিহতের বড় বোন সুরমা আক্তার জানান , পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. মকুল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনের (১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার বোনের। গত দুই মাস আগে আমাদের বাড়িতে রাতে সাব্বির ও আমার বোনকে এক কক্ষে সন্দেহজনক ভাবে দেখতে পায়। সে সময় মানসম্মানের ভয়ে কাউকে কিছুই জানায়নি। শুধু মাত্র সাব্বিরের পরিবারে কছে জানাই তাদের ছেলেকে শাসন করার জন্য। এর পরেও সাব্বির আমার বোনকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিরক্ত করত বলে জানতে পারি।

 

তিনি আরও জানান, গত ২দিন আগে আমদের পার্শ্ববতী বাড়ির ৮ বছরের শিশুকে দিয়ে আমার বোন প্রেগনেন্সির টেস্ট কিট সাব্বিরের কাছে পাঠায়। এই বিষয়টি দেখতে পান পাশের বাড়ির এক গৃহবধু। সে এই বিষয়টি আমার দাদীর কাছে জানান।

 

নিহত আফরোজার দাদি মানিকজান বেগম বলেন, ঘটনাটি শুনার সঙ্গে সঙ্গে আমার নাতনি আফরোজাকে জিজ্ঞাসা করি। তখন আমার কাছে জানায়, সাব্বিরের সঙ্গে তার এক বছর ধরে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আফরোজা দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

 

তিনি আরও বলেন, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সাব্বির আফরোজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করায় হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে তার নাতনি আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার পর থেকে সাব্বির পলাতক রয়েছে। এই বিষয়ে জানার জন্য সাব্বির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তার ছেলের সঙ্গে আফরোজার প্রেমের কথা তিনি জানেন না।

 

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আফরোজার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content